মাতাকে আলাে দানে সাহায্য
মাতাকে আলাে দানে সাহায্য
হযরত বড় পীর সাহেব জনের পূর্বেই আল্লাহর ওলীরূপে নির্বাচিত হইয়া জনহণ করিয়াছিলেন, সেইজন্য জনের ও শিশুকাল হইতেই বিভিন্ন সময়ে তাহার বিভিন্ন কারামত প্রকাশ পাইয়াছিল, যাহা অন্যকোন ওয়বে যায়নাই।
কথিত আছে যে, হযরত বড় পীর (রাঃ)-এর মাতা উম্মুল খায়ের ফাতেমা অন্ধকার রাত্রিতে বাহিরে কোথাও গেলে পেছন দিক হইতে একটা উজ্জ্বল আলাে প্রজ্বলিত হইয়া তাঁহার সঙ্গে গমন করিত, তিনি সেই আলাের সাহায্যে অন্ধকার রাত্রিতেও বেশ স্বচ্ছন্দে পথ চলিতেন।
একদিন অন্ধকার রাত্রিতে তিনি কোথাও গমন করিতেছিলেন এবং অন্যান্য দিনের মত সেইদিনও তাঁহার পিছনে একটা আলাে প্রকাশিত হইয়া তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে অগ্রসর হইতেছিল ইতিমধ্যে তথায় হযরত বড় পীর সাহেব আসিয়া উপস্থিত হইলেন, তৎক্ষণাৎ উক্ত আলােটি অদৃশ্য হইয়া গেল।
উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রাঃ) ইহাতে বিস্মিত হইয়া তাঁহার পুত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন—বাবা আবদুল কাদের! আমার পিছনে একটা আলাে প্রকাশিত হইয়া আমাকে পথ প্রদর্শন করিতেছিল, কিন্তু তুমি এখানে আসা মাত্রই আলােটা অদৃশ্য হইয়া গেল, ইহার কারণ কি?
হযরত বড় পীর সাহেব উত্তর করিলেন—আম্মা! ঐ আলােটা ছিল একটা পিশাচের। সে সুযােগ পাইলেই আপনার কোন না কোন অনিষ্ট করিত, সেই জন্য আমি উহাকে চিরদিনের জন্য তাড়াইয়া দিয়াছি। উহার পরিবর্তে আমি আপনাকে আর একটি আলাে প্রদান করিতেছি—ইহা কোন দিনই আপনার কোন ক্ষতি করিবে না, অথচ আজীবন আপনাকে আলাে দান করিবে।
সেইদিন হইতেই তিনি অন্ধকারে পথ চলিবার কালে পূর্বাপেক্ষা অধিক উজ্জ্বল একটি আলাে প্রাপ্ত হইতেন। উহা তাহার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল।