বৃদ্ধা মাতার গর্ভে বড় পীর
বৃদ্ধা মাতার গর্ভে বড় পীর
আল্লাহর অপূর্ব মহিমা ও কুদরত বুঝিবার ক্ষমতা ক্ষুদ্রবুদ্ধি মানবের নাই। তিনি যে কোন মহান উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কখন কি করেন, তাহা তিনিই জানেন।
হযরত জাকারিয়া (আঃ) যখন সন্তান লাভের আশা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, যখন তাহারা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সম্পূর্ণ বার্ধক্যে উপনীত হইলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাহাদিগকে একটি অত্যন্ত বুযুগ সন্তান দান করিলেন, তাহাদের সখানের নাম ছিল হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) ।
হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর প্রথমা স্ত্রী হযরত ছাৱা যখন সম্পূর্ণ বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হইলেন, যখন তিনি সন্তান লাভের আশা সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, তখন আল্লাহ তাঁহাকে একটি অত্যন্ত বুজর্গ সন্তান দান করিলেন, এই পুত্রের নাম হযরত ইসহাক (আঃ)।
কথিত আছে যে, হযরত আমীর মুয়াবীয়ার পুত্র ইয়াজীদ যখন জন্ম গ্রহণ করেন, তখন তাহার মাতার বয়স হইয়াছিল ৮০ বৎসর।
আল্লাহ তাআলার অপূর্ব মহিমায় হযরত বড় পীর সাহেবের মাতা উম্মুল খায়ের হযরত ফাতেমার যখন সন্তান সম্ভাবনা বুঝিতে পারা গেল, তখন তাহার বয়স ষাট বসর উত্তীর্ণ হইয়া একটি বসর আরম্ভ হইয়াছে। প্রথম দিকে তিনি বুঝিতেই পারেন নাই যে, তাহার গর্ভে কোন সন্তান অবস্থান করিতেছে। অতঃপর কয়েকটি আশ্চর্য ঘটনা সংঘটিত হইল যদ্বারা তিনি স্বীয় গর্ভে সন্তানের অবস্থান বুঝিতে পারিলেন।