কতিপয় সুসংবাদ
কতিপয় সুসংবাদ
উম্মুল খায়ের বিবি ফাতেমা তাহার গর্ভের প্রথম মাসে এক রাত্রিতে স্বপ্নে দেখিলেন- মানবজাতির আদি মাতা হযরত হাওয়া (আঃ) আসিয়া তাহাকে বলিতেছেন—হে ফাতেমা! তােমার জীবন ধন্য, যেহেতু তােমার গর্ভে গাউসুল আযম স্থান লাভ করিয়াছে।
দ্বিতীয় মাসে তিনি পুনরায় এক রাত্রিতে স্বপ্নে দেখিলেন, হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর প্রথমা স্ত্রী হযরত ছারা (আঃ) আসিয়া তাহাকে বলিতেছেন–হে হুসাইন বংশের শ্রেষ্ঠা রমণী! তােমার গর্ভে যে সন্তান স্থান লাভ করিয়াছে, সে হইবে ইলমে মারেফাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ওস্তাদ।
তৃতীয় মাসের এক রাত্রিতে তিনি স্বপ্নে দেখিলেন, বাদশাহ ফেরাউনের স্ত্রী পরমা পুণ্যবতী বিবি আছিয়া আসিয়া তাঁহাকে বলিতেছেন—হে ফাতেমা! আমি তােমাকে সুসংবাদ প্রদান করিতেছি যে, তুমি পরমা ভাগ্যবতী রমণী, যেহেতু তােমার উজ্জ্বল রহস্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব অবস্থান করিয়াছেন।
চতুর্থ মাসের এক রাত্রিতে তিনি পুনরায় স্বপ্নে দেখিলেন, হযরত ঈসা (আঃ)-এর মাতা হযরত মরিয়ম (আঃ) তাহাকে বলিতেছেন—হে ফাতেমা! তােমার গর্ভে একজন শ্রেষ্ঠ ওলী স্থান লাভ করিতেছে।
পঞ্চম মাসের এক রাত্রিতে তিনি স্বপ্নে দেখিলেন, হযরত খাদীজা (রাঃ) আসিয়া তাহাকে বলিতেছেন- হে ফাতেমা! তােমার উদরে দ্বীন ইসলামের একটি উজ্জ্বল রত অবস্থান করিতেছে।
ষষ্ঠ মাসের এক রাত্রিতে তিনি স্বপ্নে দেখিলেন, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) আসিয়া তাহাকে বলিতেছেন—হে ফাতেমা! যাহার অলৌকিক ক্ষমতা দশর্ন করিয়া দুনিয়ার প্রত্যেকটি মুসলমান মুগ্ধ, বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইবে, সেই মহাপুরুষ তােমার গর্ভে অবস্থান করিতেছে।
সপ্তম মাসে নবী নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা জোহরা (রাঃ) তাহাকে বলিলেন-হে ফাতেমা! তােমর উদরে সৈয়দ বংশের এমন এক উজ্জ্বল রত্ন অবস্থান করিতেছে, দুনিয়ার যাবতীয় আওলিয়া যাহাকে শ্রদ্ধা করিবে।
অষ্টম মাসে হযরত ইমাম হাসানের স্ত্রী হযরত জয়নব (রাঃ) আসিয়া তাহাকে বলিলেন-হে ফাতেমা! তােমার উদরে যে পুত্র রত্ন অবস্থান করিতেছে, সে দ্বীন ইসলামকে নববলে বলীয়ান করিয়া তুলিবে, সেইজন্য তাহাঁর উপাধি হইবে মহিউদ্দীন।
নবম মাসে হযরত ইমাম হুসাইনের স্ত্রী আসিয়া স্বপ্ন যােগে তাঁহাকে জানাইলেন হে ফাতেমা! তুমি পরমা ভাগ্যবতী রমণী, কেননা তুমি অতিসত্বর এমন একটি পুত্র সন্তান প্রসব করিবে, যাহার উপলক্ষে জীলান নগরী দুনিয়ার যাবতীয় মুসলমানের নিকট পবিত্র স্থান বলিয়া গণ্য হইবে।